ঢাকা: বেআইনিভাবে অর্পিত সম্পত্তি নামজারির মামলা থেকে ৠাব কর্মকর্তাসহ চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুমোদিত চার্জশিটে নতুন সাতজনসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকে এ চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, রাজধানীর ৭০ নম্বর বিসিসি রোডে ৮ শতাংশ সম্পত্তি সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড অনুযায়ী মালিক যশোদা লালবাগ রায়। ১৯৪৭ সালের পর তিনি ভারত চলে যাওয়ায় এ সম্পত্তির মালিক হয় সরকার, যা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু জবরদখলে থাকা মৃত সাদেক আলী খানের ছেলে-মেয়ে ও স্বজনদের অবৈধভাবে নামজারি করা হয়।
এ অভিযোগ অনুসন্ধান করে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পাঞ্চল থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) আবু বকর সিদ্দিক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৮ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি নামজারি করে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১১ সালের ২১ জুলাই জমির দলিল করা হয়। নামজারি করা হয় ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর।
মামলায় আসামি করা হয় কোতোয়ালি সার্কেলের সে সময়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমানে ৠাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, একই সার্কেলের সাবেক সার্ভেয়ার ও বর্তমানে ধানমন্ডি সার্কেলের সহকারী কমিশনার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সমর চন্দ্র সূত্রধর, সূত্রাপুর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) হুমায়ুন মোল্লা, ওয়ারী থানার কাপ্তান বাজারের মোহাম্মদ আলী হোসেন, মো. মহিউদ্দীন ও জিনাত আরা পারভীনকে।
কিন্তু মামলা পরবর্তী তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক এজাহারনামীয় চারজনকেই অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছেন। তার সুপারিশ অনুযায়ী নতুন করে সাতজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়।
এদের মধ্যে ৠাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এবং ধানমন্ডি সার্কেলের সহকারী কমিশনার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার সমর চন্দ্র সূত্রধরের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ না পাওয়ায় ওয়ারী থানার কাপ্তান বাজারের মোহাম্মদ আলী হোসেন, মো. মহিউদ্দীনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে সূত্রাপুর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) হুমায়ুন মোল্লা ও জিনাত আরা পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে অভিযোগপত্রে আরও যে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- কোতোয়ালি সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সাবেক নাজির, বর্তমানে ধামরাই ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাজির মো. আকবর হোসেন এবং মৃত সাদেক আলী খানের ছয় সন্তান মাহবুব আলী খান, মো. মন্টু আলী খান, মো. আকতার আলী খান, পারুল বেগম, সামসুন নাহার ও বাবু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫
এডিএ/এএ