ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ কখনই সফল হবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ কখনই সফল হবে না ছবি: আরিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ কখনই সফল হবে না। দেশে এদের কোনো স্থান নেই।

এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সম্মিলিতভাবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদেশ জঙ্গিবাদের দেশ নয়। এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। দেশে আইএস'র কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা বিশ্বকে প্রমাণ করে দেবো।  
 
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বগুড়া পুলিশ লাইনস মাঠে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  

আইজিপি বলেন, উত্তরবঙ্গের অন্যতম জেলা বগুড়া। এই জেলা শহর ও এখানকার মানুষ অত্যন্ত আধুনিক। এরপরও একজনের ফাঁসির রায় ঘিরে এখানে মৌলবাদের উত্থান ঘটলো। চাঁদে সেই মানুষকে দেখা গেলো। আর এটা বিশ্বাস করে আধুনিক চিন্তাধারার মানুষগুলো রাস্তায় নেমে আসলো।  
 
মৌলবাদীরা সাধারণ মানুষের সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করলো। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিপদগ্রস্ত করে তুললো। মৌলবাদীদের পরিকল্পনায় অনেক নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে গেলো। অথচ চাঁদে মানুষকে দেখা যায় -এটা বিশ্বাস তো দূরের কথা, চিন্তাও করা যায় না।  
 
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এদেশ জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জন্য উর্বর নয়। এদেশে জঙ্গিদের কোনো ঠাঁই নেই। এটা বিশ্বকে বুঝতে হবে।  
 
আইএস সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএস নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ আইএস মতবাদ গ্রহণ করতে পারে। তাদের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সজাগ রয়েছে। তাদের সন্ধানে কাজ চলছে। অনেক মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীকে ধরা হয়েছে। অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছে।  

দেশের জনগণ এসব অন্যায় কাজকে সাপোর্ট করে না। পুলিশ প্রশাসন দেশের শান্তি প্রিয় জনগণের পাশে রয়েছে। জনগণও পুলিশের পাশে রয়েছে। তাই অন্যায়কারীরা কখনও কোনোভাবেই সফল হবে না।
 
ফ্যানফেয়ার ধ্বনিতে প্রধান অতিথির আগমন বার্তা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ক্রীড়া সালাম গ্রহণ করেন। অলিম্পিক মশাল প্রজ্জ্বলন করেন।  
 
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও তার সহধর্মিনী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শুরু হয়।  
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, নুরুল ইসলাম ওমর, রেজাউল করিম তানসেন, রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শকের সহধর্মিনী বেগম শাসসুন্নাহার রহমানসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমবিএইচ/এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।