ঢাকা: জনসংখ্যা আর আয়তনে বৃহত্তম দেশ হিসেবে চীনে পর্যটন সুযোগ ও পর্যটকের সংখ্যা যেকোনো একক দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। চীনের সেসব পর্যটক টানার পাশাপাশি দেশটির পর্যটন অভিজ্ঞতাও গ্রহণ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
জানা যায়, দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে বছরব্যাপী গ্রহণ করা নানা উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন প্রধান দেশগুলোর সহযোগিতা বাড়াচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছে চীনের একটি প্রতিনিধি দল।
চীনা ন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (সিএনটিএ) চেয়ারম্যান লি জিনজাও প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন সিএনটিএ’র মার্কেটিং ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লি জায়িং, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জু হায়জুন প্রমুখ।
দু’দিনের সফরে চীনের প্রতিনিধি দল বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে দু’দেশের পর্যটন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয় আলোচনা হয়।
আলোচনায় পর্যটনের ক্ষেত্রে দু’দেশ যৌথভাবে মৈত্রী বাড়ানোর চেষ্টা করবে বলে সম্মত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বুদ্ধ ধর্মের নানা এতিহ্য ও স্থাপনা রয়েছে। সেসব স্থাপনাগুলো কেন্দ্র করে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী পর্যটক বাংলাদেশে আসার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে সিএনটিএ। পর্যটন বর্ষের নানা আয়োজনের বিষয়ে সরকার ও বেসরকারী সংস্থাগুলোর নেওয়া নানা উদ্যোগের প্রসংশা করেন সিএনটিএ চেয়ারম্যান।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সিএনটিএ বিশ্বের সবেচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক পরিচালনার কাজ করে থাকে। তাই পর্যটন ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা পাওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সুযোগ।
এ সহযোগিতার রুপ চূড়ান্ত করতে শিগগিরই বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করবে বলেও জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
জেপি/জেডএস