বগুড়া: বগুড়া সদর উপজেলায় রুবিনা খাতুন (১৪) নামে স্কুলছাত্রী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার নওদাপাড়া কলোনি এলাকার নানার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রুবিনার বাবা রবিউল ইসলামের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে স্বামী আবু তাহের তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকেই আবু তাহের পলাতক।
রুবিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বাংলানিউজকে জানান, রুবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই কেবল মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব।
স্বজনরা জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মধ্যকাতুলী গ্রামের আবু তাহেরের সঙ্গে রবিউল ইসলামের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রুবিনা খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের শর্ত মতে ছেলেকে মেয়ের বাবার অর্ধলাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা। এই টাকা ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল। যৌতুকের টাকা নিয়ে প্রায়ই রুবিনাকে তার স্বামী নির্যাতন করতো।
এরই মধ্যে রুবিনা তার বাবার বাড়িতে আসে। আবু তাহেরও বুধবার (২০ জানুয়ারি) শ্বশুরালয়ে চলে আসে। তারপর একই এলাকায় রুবিনার নানা বুলু মুন্সির বাড়িতে রাতের খাবার খেতে যায় দু’জন। রাতের খাবার খেয়ে দু’জনে ঘুমিয়ে পড়ে।
কিন্তু সকালে দেখা যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচানো রুবিনার মরদেহ ঝুলছে। লাপাত্তা হয়ে গেছে তার স্বামী। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
এমবিএইচ/এইচএ/