ঢাকা: টাকা নিয়ে কেরানীগঞ্জে গৃহবধূ মিম আক্তার হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিম হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তার চাচা মো. সান্টু আহমেদ এ অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য মিমকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছেন স্বামী মনিরুজ্জামান বাবু ও শাশুড়ি জাহানারা বেগমসহ পরিবারের লোকজন। পরে এই ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মিমের স্বামীর পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ। এর মধ্যে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেলকে পাঁচ লাখ টাকা দেন আশরাফ।
সান্টু জানান, ১৬ জানুয়ারি মিমকে হত্যা করে মনিরুজ্জামান ও তার পরিবারের লোকজন ব্রাইটন হাসপাতালে রেখে যান। পরে তারা মিমের পরিবারকে জানান মিম অসুস্থ। ১৮ জানুয়ারি মিমের পরিবার অন্য লোকের মাধ্যমে জানতে পারেন যে মিমকে মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ থানার এসআই আশরাফের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। ওই সময়ই মিমের স্বামীর পরিবারের সঙ্গে এসআই আশরাফের আতাত হয়।
এ নিয়ে মিমের বাবা মো. মাসুম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেও বেকায়দায় রয়েছেন। পুলিশ ও মিমের শ্বশুরালয়ের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন মিমের শাশুড়ি। –অভিযোগ সান্টু আহমেদের।
মানববন্ধনে মিমের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তারা এসময় মিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
আরইউ/আরএইচএস/এসআই