জয়পুরহাট: মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মাঝরাত থেকে হঠাৎ করেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় জয়পুরহাট জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ।
জয়পুরহাট জেলায় বুধবার (২০ জানুয়রি) তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৯ মিলিমিটার।
আর বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বৃষ্টির কারণে আলুর খেতে লেটব্রাইট নামে এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে হঠাৎ এ বৃষ্টির কারণে সবজি-ফসল যেমন পেঁয়াজ, গম, সরিষাসহ অন্যান্য ফসলের অনেকটা উপকার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছাব্বির ইবনে জাহান।
অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটে পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে ও ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে লোড-শেডিং এর ফাঁদে পড়েছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল।
হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি হওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা কাবু হয়ে পড়েছেন। এ কারণে জয়পুরহাট রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি দোকানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ২০ টাকা থেকে দুই/তিনশ’ টাকা দরের গরম কাপড় কিনছেন।
জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট শেখপাড়া মহল্লার আবু কালাম ও সদরের জামালপুর ইউনিয়নের ভেটি গ্রামের গৃহিনী রেবা খাতুন জানান, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এখনো সূর্যে্যর দেখা না পাওয়ায় তারা গরম কাপড় কিনতে হকার্স মার্কেটে এসেছেন।
এদিকে শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। তারা শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে না পারায় রোজগার করতে পারছেন না। ফলে সংসার চালাতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
অন্যদিকে বৃষ্টি ও বর্তমান এ আবহাওয়ার অজুহাতে মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ইট ভাটার মালিকরা প্রতি হাজার ইটে ৮শ’ টাকা করে দাম বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার জয়পুরহাট সদরের বিভিন্ন ইট ভাটায় ১ নং ইটের দাম ছিল যেখানে ছয় হাজার ২শ’ টাকা, সেখানে বুধবার থেকে সাত হাজার টাকা দরে বিক্রি শুরু করেছে মালিকরা। ফলে বিল্ডিং তৈরি করতে যাওয়া গৃহস্থরা পড়েছেন মহা বিপাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
আরএ