ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেশবপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
কেশবপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: যৌতুকের দাবিতে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় জেসমিন খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তার স্বামী।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কুশলদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে তিনি কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৭ সালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আরশনগর গ্রামের জেসমিন খাতুনের সঙ্গে কেশবপুর উপজেলার কুশলদিয়া গ্রামের শেখর আলী মোড়লের ছেলে রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে রবিউল ইসলাম জেসমিনকে নির্যাতন করে আসছিলেন। বছর দু’য়েক আগে যৌতুক না পেয়ে জেসমিন ও তার (মেয়ে) সন্তানকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন রবিউল।

এরই মধ্যে রবিউল গোপনে আরও পাঁচটি বিয়ে করে পর্যায়ক্রমে তালাক দেন। এরপর দুই দফায় রবিউল তিন লাখ টাকা যৌতুক আদায় করে জেসমিনকে পুনরায় ঘরে তুলে নেন।

সম্প্রতি রবিউল তার তালাক দেওয়া স্ত্রী মরিয়ামকে আবারও বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য জেসমিনের কাছে যৌতুক দাবি করেন। জেসমিন অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে মারধর করে বাপের বাড়ি চলে যেতে বলতেন। এতে জেসমিন রাজি না হওয়ায় শুক্রবার সকালে মারধরের একপর্যায়ে তাকে ঘরের ভেতর নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে তার মুখ, গলা, কাঁধ ও বুক ঝলসে গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জেসমিনের শরীরের প্রায় ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশাঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
এএটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।