রাজশাহী: টানা বৃষ্টির দুই দিন পর অবশেষে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছিল রাজশাহীতে। তবে সূর্যের সোনালি রোদের উত্তাপ বেশিক্ষণ উষ্ণতা ছড়াতে পারেনি শীতার্ত মানুষের শরীরে।
ক্ষণিকের ব্যবধানে আবারও চলে গেছে সাদা মেঘের আড়ালে। তাই মাঘের প্রথম সপ্তাহে জেঁকে বসেছে শীত। সারা দিন হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার পর কনকনে ঠাণ্ডা কাঁপিয়ে তুলেছে পদ্মা পাড়ের ছিন্নমূল মানুষগুলোকে।
ফলে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাতর হয়ে পড়েছে। শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
এছাড়া সন্ধ্যার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। তবে সরকারি, সেবরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণও শুরু হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় নঘন্য বলছেন শীতার্তরা।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল হক জানান, হঠাৎ ঠাণ্ডায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ডাইরিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা বেগম জানান, রাজশাহীতে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লতিফা বেগম বলেন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিনই এই ব্যবধান কমছে। জানুয়ারি মাসের শেষার্ধে রাজশাহী অঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, শীত মোকাবেলায় এবারও জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার পিস কম্বল মহানগরী ও ৯টি উপজেলায় বিতরণের জন্য প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
এসএস/এমজেএফ/