ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নো এমআরপি, নো এন্ট্রি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
নো এমআরপি, নো এন্ট্রি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি), সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমগ্রেশন বুথের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যাংকক ফেরত আরএক্স ৭৮৬ ফ্লাইটের যাত্রীরা।



ঢাকায় আসা ১২০ যাত্রীর সবার হাতেই পাসপোর্ট (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) আর স্বহস্তে পূরণ করা ইমিগ্রেশন ফরম। কিন্তু এক যাত্রীর কাছে আছে হাতে লেখা পাসপোর্ট।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানালেন, এমআরপির জন্য আবেদন করেছেন।

আর সেই আবেদনের কপি তাকে দেখানোর পরই ইমিগ্রেশন ডেস্ক থেকে ছাড়া পেলেন ওই যাত্রী।

তবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বলে দিলেন, ইন ফিউচার নো এমআরপি, নো এন্ট্রি।

বিমানবন্দরের বাইরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রবেশের আগেই প্রথম নিরাপত্তা গেটে দায়িত্বরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাট‍ালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরাও যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করছেন, ডিজিটাল পাসপোর্ট আছে কি-না? থাকলেই কেবল প্রবেশের অনুমতি মিলছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে এমআরপি ছাড়া বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও)। যা ওই সময় থেকে বাংলাদেশেও কার্যকর করা হয়।

এর আগে হাতে লেখা পাসপোর্ট ডিজিটালে রূপান্তরিত করতে বিভিন্ন সময় প্রচারণাও চালায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

তবে এখনও যারা এমআরপি হাতে পাননি, তবে আবেদন করেছেন সেক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পাচ্ছেন তারা। এমআরপি আবেদনের কপি দেখালেই ইমিগ্রেশনে ছাড় পান হাতে লেখা পাসপোর্টধারীরা।

এপিবিএন-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলমগীর হোসেন শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, শুধু বাংলাদেশিদেরই নয়, বিদেশিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কারণ, এখানে চেকিং না করলে বাংলাদেশি যাত্রীদের গন্তব্যের বিমানবন্দর থেকে ফের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।  

‘সম্প্রতি এক দম্পতি বিমানবন্দরে এসেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেননি। কেবল মাত্র এমআরপি না থাকার জন্য নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের। ’

এমআরপি ছাড়া কোনো যাত্রী বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।  
আইসিএও-এর চুক্তি অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে এমআরপি ইস্যু শুরু করে বাংলাদেশ। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৫২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
ইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।