ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ

ফেরত পাঠানো চুয়াডাঙ্গার আব্দুল আলীর তদন্ত শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
ফেরত পাঠানো চুয়াডাঙ্গার আব্দুল আলীর তদন্ত শুরু আব্দুল আলী

চুয়াডাঙ্গা: জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো চুয়াডাঙ্গার আব্দুল আলীর বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ।

এদিকে, ঢাকার টঙ্গী থানায় জঙ্গি সম্পক্তৃতা নিয়ে তার নামে একটি মামলা পাওয়া গেছে।

সে মামলায় শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, মোহাম্মদ আলীর জঙ্গি সম্পক্তৃতা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যেহেতু তিনি ঢাকাতেই বেশি সময় থাকতেই তাই প্রাথমিক তদন্তে চুয়াডাঙ্গায় তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।

তবে টঙ্গীতে জঙ্গি সম্পক্তৃতা নিয়ে তার নামে একটি মামলা পাওয়া গেছে। সে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুর থেকে ২৬ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজন চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদ আব্দুল আলী (৪২)।

সংসারের সচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যান তিনি। সেখানে ৯ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে কিছুদিন পর সিঙ্গাপুর যান। সম্প্রতি ওই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আব্দুল আলীর গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদ আব্দুল আলীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ডোমচারা গ্রামে। বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও দেশে থাকাকালে বেশিরভাগ সময়ই তিনি ঢাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হওয়ায় দরিদ্র পরিবারে সচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যান মোহাম্মদ আব্দুল আলী।

আব্দুল আলির পরিবারের সদস্যরা জানান, সৌদি আরবে ৯ বছর প্রবাস জীবন কাটায় সে। এরপর দেশে ফিরে বিয়ে করে। এক বছর পর যান সিঙ্গাপুর।

গ্রামবাসী বলছেন, সৌদি আরবের পর সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ ১০ বছর অবস্থান করলেও ভাগ্যের চাকা তেমন পরিবর্তন করতে পারেননি আলী। দুই দফায় দীর্ঘ ২০ বছর প্রবাস জীবনের সঞ্চয় মাত্র দুই কক্ষবিশিষ্ঠ একটি বাড়ি।

এরই মধ্যে আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ততার খবরে বিস্মিত তার স্বজনসহ গ্রামের মানুষ।

আব্দুল আলীর স্ত্রী রেখা খাতুন বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তারা আলীর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বেশ কয়েকদিন পর এক বন্ধু মারফত আটকের বিষয়টি জানতে পারেন।

আলীর বৃদ্ধা মা আমিরুন নেছা ও বাবা রুস্তম মন্ডল ছেলের জঙ্গি সম্পৃক্ততার খবরে বিস্মিত। তারা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করলেই ছেলে নিরাপরাধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন।

আলীর ছোট ভাই আব্দুল মজিদের দাবি, আলী সিঙ্গাপুরে যে কোম্পানিতে কাজ করতো সেই মালিকের কাছে বেতন-ভাতা বাবদ অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় তাকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়:০২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।