ঢাকা: স্কুলপড়ুয়া দুই খুদে পথচারী বেশ খানিকক্ষণ ধরেই অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করছে। দু’জনের পক্ষে আসলেই কী এই ছোটখাটো একটি খাল পাড়ি দেওয়া সম্ভব? যেখানে বড়দেরই ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়!
‘চল, ওই মাথা দিয়া ঘুইরা যাই, চল...’ খুদে পথচারীদের এমনই কথোপকথন শোনা গেল।
এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যে শুধু ওই দুই খুদের, তা কিন্তু নয়। বড়দের মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। যথেষ্ট বিরক্তিও অনুভব করেন তারা।
কিন্তু কী আর করার? কাজে যেহেতু বের হতে হয়েছে, যেতে তো হবে, এটাই যেন স্বাভাবিক। বিড়বিড় করে ভ্যান ঠেলতে-ঠেলতে বলছিলেন একজন।
আর একটু এগোলে অবশ্য বিষয়টি এতোটা জটিল নয়, কিঞ্চিৎ স্বাভাবিক। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে যে কোনো পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার এক উদাহরণই চোখে পড়ে।
আবার হঠাৎ করেই কেউ কেউ দিচ্ছেন লম্বা লাফ, ব্যস...। পাড় হয়ে যাওয়াটাই যেন বড় বিষয় এখানে।
‘এই অবস্থার লাইগ্যা প্রায়ই দোকান সাতটার মধ্যে লাগায়া দিছি, কী করুম কন? কাস্টমাররা আইতে চায় না। আপনেই কন, এই গন্ধ বওয়া যায়। মাইনষে চা-টা খাইবো কোন দুঃখে?’ হরহর করে বলে গেলেন টঙ দোকানি রওশন আরা বেগম।
রওশনের টঙ দোকানে কাস্টমার জহিরুল ইসলাম। যিনি নিয়মিত আসেন এই দোকানে। ‘বহুত দিন ধইরাই এইভাবে চলতাছে। বৃষ্টির দিনে তো অবস্থা আরও খারাপ হয়। সিটি করপোরেশনের লোকেরা আইয়া ওপর দিয়া ওপর দিয়া একটু খোঁচাখুঁচি কইরা চইলা যায়। কামের কাম কিন্তু কিছুই হয় না,’ যোগ করেন জহিরুল।
স্থানীয় এক কাঠের চৌকি বিক্রেতা বললেন, ‘ড্রেনেজ লাইনের লগেই ময়লা জমতাছে। তেনারা দেইখাও দেখেন না। মাঝখান দিয়া আমাগোর ক্ষতি’
এসব ঘটনার চিত্রগুলো রাজধানীর নতুন বাজার বারিধারার জে ব্লকের মাদ্রাসা সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে।
দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার জন্য এ সড়কে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকে। আর সে ভোগান্তি গায়ে মেখে চলাচল করেন পথচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
টিআই/এমএ