ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শীতকেও হার মানাবেন বেকার নার্সরা

ফররুখ বাবু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
শীতকেও হার মানাবেন বেকার নার্সরা ছবি: রাজীব/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: যতো ধরনের বাধা আসুক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবো। কোনো প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা বেকার নার্সদের ঘরে ফেরাতে পাড়বে না।

 
 
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টা নাগাদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনে থাকা বেকার নার্সরা বাংলানিউজকে এমন কথা বলেন।

ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্সদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্স অ্যাসোসিয়েশন।
 
সংগঠনের মহাসচিব ফারুক হোসাইন জানান, বাংলাদেশে যতোগুলো নার্সদের সংগঠন রয়েছে, সেসব সংগঠন বেকার নার্সদের দাবির পক্ষে একমত।

শীতের রাতে আন্দোলনরত নার্সদের কি কি সমস্যা হচ্ছে জিজ্ঞেস করতেই সংগঠনের সভাপতি রিনা আকতার আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এতোকষ্ট জীবনে লেখা ছিল। গভীর রাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শীতে কাঁপতে হবে দশ বছর অপেক্ষা করার পরও?

তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেবো। আর কারও মুখের কথা বিশ্বাস করবো না। লিখিতভাবে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে, তবেই নার্সদের আন্দোলন শিথিল করা হবে।

সরেজমিনে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেকার নার্সদের দাবি প্রসঙ্গে কথা বলতে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গৌতম আইচ সরকার, যুগ্ম সচিব সুবাস চন্দ্র সরকার ও নার্স অধিদপ্তরের পরিচালক নিলুফা ফরহাদ।
 
‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নার্সদের আন্দোলন বন্ধ করার কথা বলেন। এছাড়া তারা বলেন, নার্সদের দাবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দাবি আদায়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা’ বাংলানিউজকে জানান সংগঠনের মহাসচিব ফারুক হোসাইন।

ফারুক বলেন, গত দু’বছর সরকারের আমলারা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের আন্দোলন বারবার থামিয়ে দিয়েছেন, এবার আর না। যতো ধরনের বাধা আসুক, আর যতোই শীত আসুক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।  
 
জানা গেছে, ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে চার হাজার একশ’ নার্স ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। বাংলাদেশে যে সময় থেকে নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, সেই সময় থেকেই ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় নার্সদের।
 
পূর্বের নিয়মানুযায়ী নার্সদের নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু নিয়োগ বাণিজ্য করার চিন্তা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে মূল্যায়ন করছেন না সরকারের আমলারা, অভিযোগ ফারুক হোসাইনের।
 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এরই মধ্যে তিনবার স্মারকলিপি দিয়েছেন বেকার নার্সরা। যার ফলশ্রুতিতে নার্স নিয়োগের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৬ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আন্দোলনরত নার্সদের আশা, প্রধানমন্ত্রী যদি তাদের অবস্থান ধর্মঘটের কথা শুনতে পান তাহলে নিজের ঘোষণা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এফবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।