ঢাকা: ফেসবুকে একজন তার এলাকার এক হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিশুদের জন্য কিছু কম্বল চেয়ে একটি পোস্ট দেন। শত ব্যস্ততার ভিড়েও পোস্টটি নজরে আসে তার।
তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম। এই প্রতিবেদক পেশাগত কারণে চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তার অফিস কক্ষে গিয়ে অনেকগুলো কম্বল দেখতে পায়। কারণ জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, এসব উপহার মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার অন্তর্গত সাটুরিয়া ইউনিয়নের বাছট বৈলতলা মুকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য। এগুলো নিতে ফেসবুকে পোস্টদাতাকে সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আসতে বলেছেন ডিবি অফিসে।
শেখ নাজমুল আলমের ভাষায়, সমাজের অন্য দশজনের মতো একজন পুলিশ কর্মকর্তার মনেও প্রেম, মায়া ও ভালোবাসা থাকে। হয়তো পেশাগত কারণে গণমাধ্যমে ভিন্ন ধরনের ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে।
মাদ্রাসা শিশুদের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, পিছিয়ে পড়া এই শিশুদের সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। অন্যান্য শিশুর মতো সুযোগ-সুবিধা পেলে বড় আলেম হয়ে তারা নিজেরাই জঙ্গিবাদ রুখে দেবে।
নিজের পরিবার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামী মার্চ মাসে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন।
এদিকে, বাছট বৈলতলা মুকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানা থেকে সদ্য হাফেজ হওয়া মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, আমাদের মাদ্রাসাটি গাজী খালী নদীর পাশেই। টিনের চৌচালা ঘরটায় রাতের বেলা নদী থেকে আসা কনকনে হাওয়ায় কি যে কষ্ট হয়! কম্বলগুলো পেয়ে আমরা খুব খুশি
অপর এক হাফেজ আবু রায়হান বলেন, নাজমুল স্যার আমাদেরকে চেনেন না। তারপরেও আমাদের প্রতি তার এ মায়া দেখে আমরা খুবই খুশি।
এদিকে, শেখ নাজমুল আলমের মতো বাছট বৈলতলা মুকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদিন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এনএ/আরএইচ