ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ’

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



বাংলাদেশে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যার আগাম সর্তক সংকেত প্রদান, পাহাড়ে চাষাবাদ ইত্যাদি বিষয়ে অংশীদারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

নেপাল ভিত্তিক আন্তঃসরকারি সমন্বিত পর্বত্য উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইসিআইএমওডি) ও পর্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় দিনব্যাপী সেমিনারটির আয়োজন করে।

গওহর রিজভী বলেন, ‘গত ৬-৭ বছরে পার্বত্য অঞ্চলে অসাধারণ উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৯৭ সালে করা পার্বত্য চুক্তির বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকি আছে শুধু ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি। এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি খসড়াও এখন প্রস্তুত, যা শিগগিরই পার্লামেন্টে যাবে। সেখানে অনুমোদন হলেই এই সমস্যা সমাধান হবে। ’

প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বেই এই চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।    

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের সচিব এবং আইসিআইএমওডি’র বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারপারসন নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আম ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীসহ অন্যরা।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিআইএমওডি’র মহাপরিচালক ড. ডেভিড মোল্ডেন।

প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, বাংলাদেশর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিকভাবে আলাদা। এখানে বাঙালিসহ ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বসবাস। পিছিয়ে থাকা এ জনপদের জন্য সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচি বেগবান করার পাশাপাশি আইসিআইএমওডি বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, আইসিআইএমওডি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশসহ হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের আটটি দেশের পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করছে আইসিআইএমওডি। সংস্থাটি পাহাড় ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর ওপর বিশ্বায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব অনুধাবন করে তা অভিযোজনের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির লক্ষ্যে আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গবেষণাধর্মী ও প্রতিকারমূলক কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ আইসিআইএমওডি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। সংস্থাটির অন্যান্য সদস্য রাষ্টগুলো হলো- আফগানিস্তান, নেপাল, ভারত, ভুটান, মায়ানমার, চীন ও পাকিস্তান।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬/আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা
জেপি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।