ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবসরের পর রায় লেখা অসাংবিধানিক নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
অবসরের পর রায় লেখা অসাংবিধানিক নয়

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের জবাবে সংসদে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংবিধানের কোনো আর্টিকেলে লেখা নেই অবসরের পর রায় লেখা যাবে না। তাই অবসরের পর রায় লেখা অসাংবিধানিক নয়।


 
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সংসদ অধিবেশনে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভকেট আনিসুল হক।

এর আগে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে আলোচনার সূত্রপাত করেন পিরোজপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী।
 
এরপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাবেক আইন মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু। সবশেষে আলোচনায় যোগ দেন আইন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যরা সংসদে যা আলোচনা করেছেন তা যথার্থ। আমাদের যে সংবিধান, তার কোনো আর্টিকেলে লেখা নাই যে, বিচারপতি অবসরে যাওয়ার পর তিনি রায় লিখতে পারবেন না। সেটাই যদি হয়, তাহলে তা অসাংবিধানিক হতে পারে না। যা কিছু হোক, আইনের ভাষায় অসাংবিধানিক নয়।
 
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশনের যে রায় মাননীয় বিচারপতিরা লেখেন তা এজলাসে বসেই দেওয়ার কথা। কিন্তু যদি এমন হয়, মামলা জটের কারণে রায়টা তারা শেষ করতে পারছেন না, তাহলে এজলাসের বাইরে রায় লেখার অধিকার তারা রাখেন।
 
মন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগেও এ কথা লেখা নাই, রায় দিতে হবে এজলাসে। আপিল বিভাগে পরিষ্কার করে লেখা আছে, রায় দিতে হবে কোর্টে। সেখানেও কিন্তু কোথায় লেখা নেই, অবসরের পর রায় লেখা যাবে না। তাই অবসরের পর রায় লেখা অবৈধ নয়।
 
প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তিনি বিচার বিভাগের প্রধান। তার কিছু সমস্যা আছে সেটা আমরাও জানি। কোনো বিচারপতি রায় অনেক দেরি করে লেখেন। যদি রায় দেরি করে লেখেন তাহলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়েন। জনগণ চায় তাদের রায় দ্রুত হাতে পেতে। আমরাও দেখেছি রায় অনেক দেরি করে লেখা হচ্ছে। এটা যদি তিনি দূর করতে চান তাহলে প্রধান বিচারপতি একটা প্র্যাকটিস ডিরেকশন দিতে পারেন। সেই প্র্যাকটিস ডিরেকশনে উল্লেখ করতে পারেন, অবসরে যাওয়ার তিন মাস বা চার মাস পর বা একটা টাইম ফ্রেম দিতে পারেন।
 
‘কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে প্রধান বিচারপতির কথা বলার পর অনেক কথাই অনেকে বলেন, জনগণকে যারা বাসের মধ্যে পেট্রোল বোমায় মেরে ফেলে, তারা এই কথাটা লুফে নেন।
 
প্রধান বিচারপতির কথা লুফে নিয়ে তারা বলেন, সব কাজকর্ম যা হয়েছে রায় যা লেখা হয়েছে তা অসাংবিধানিক। আমি তাদের আবার সংবিধান পড়তে বলবো, তাদের সংবিধান পড়তে হবে...  পশ্চাতে যা হয়েছে তাতে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পশ্চাতে যেতে কোনোভাবেই গ্রহণ করা হবে না, সামনের দিকে যেতে যদি প্রধান বিচারপতির কোনো পরামর্শ থাকে তাহলে আমরা সেদিকেই যাবো। আমরা আর পশ্চাতে ফিরে যাব না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬/আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা
এসএম/এমজেএফ/

** নারীর পেছনে সময় নষ্ট করেছেন
** প্রধান বিচারপতি একজন ব্যক্তিই নন, একটি প্রতিষ্ঠান
** প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি
** যে রেওয়াজ চলে আসছে, তা চলবে
** উৎসবমুখর পরিবেশে দেশব্যাপী পৌর নির্বাচন হয়েছে
** অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সংসদীয় কমিটি
** পল্লবীতে ডিএনসিসির নগর ভবন!
** দেখাইলেন মুরগি, দিলেন ডিম!
** খাল দখলের সুযোগ নেই
** চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।