ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না, পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না, পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে কারো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না, সে যতো বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন। নির্যাতিত মানুষের পক্ষে থাকবেন, জনকল্যাণে কাজ করবেন।



প্রভাবশালী কেউ প্রভাব বিস্তার করে অন্যায়-অপকর্ম করতে চাইলে বা পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইলে সরাসরি তাকে জানানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দলেরও (আওয়ামী লীগ) নাম ব্যবহার করে যদি কেউ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর প্রভাব খাটায়, ছাড় দেবেন না। সরাসরি আমাকে জানাবেন। সরাসরি যোগাযোগের সে ব্যবস্থাও আমি রেখেছি।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি থাকে। তারা রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করে। আমার সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকবে, কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না। যে যতো প্রভাবশালী হোক’।
 
সততা ‍ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা মানুষের আস্থা বিশ্বাস। আপনাদের কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আসতে হবে, এখানে গেলে পরে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে, ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে’।
 
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, কিছু দুর্বল পরিবার, গ্রামে গ্রামে অনেকে থাকে। সেখানে তাদের জমি জমা দখল করে নেওয়া হয়। তাদের ওপর নানা রকম নির্যাতন করা হয়’।
 
‘তারা আশ্রয় চায় পুলিশের কাছে। দুর্বলদের সুরক্ষা করতে হবে। তাদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে’।
 
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়ে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ যেন কোনোমতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে’।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কল্যাণ, জনগণের মঙ্গলই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। আর সেটি করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে হবে। সে দায়িত্ব সার্বিকভাবে পুলিশের ওপরই পড়ে।

পুলিশ যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেজন্য তাদের সে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার। সরকার সেসব ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ বাহিনীর কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় কি করতে হবে, সেটা আমরা জানি। তাই সরকারের কাছে কোনো দাবি করতে হয় না। দাবি ওঠার আগেই তা পূরণ করি।

চোরাচালান, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশকে আরো বেশি সক্রিয় ও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
 
মাদক নির্মূলের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে মাদক। সমাজের সর্বস্তরে একেবারে উচ্চমহল থেকে শুরু করে নিচুমহল পর্যন্ত মাদকের প্রভাবে বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজের অনেকে বিপথে চলে যাচ্ছে, তাদের জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে’।
 
সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়কগুলো নিরাপদ করার বিষয়ে পুলিশকে বিশেষ নজর দিতেও বলেন শেখ হাসিনা।
 
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরকে আমরা পর্যটন বছর ঘোষণা করেছি। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
 
পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব বাড়াতে কর্মক্ষেত্রে সবাইকে চেইন অব কমান্ড মেনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের হরতাল-অবরোধের নামে নৃশংসতা মোকাবেলা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থীদের দমনে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বোমা হামলা মামলার তদন্তেও পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন আপনারা।

দেশের জিডিপির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করার পেছনে পুলিশ বাহিনীরও অবদান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জন করবো।

বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাণ্ডব না হলে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে উন্নীত করা যেতো।

এ সকল কারণে আপনাদের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে। পাশাপাশি আপনাদের দায়িত্বও বেড়েছে বহুগুণে উল্লেখ করে মানুষের সে আস্থা-বিশ্বাস বজায় রাখতে পুলিশকে সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সমস্যা ও দাবির কথা তুলে ধরেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তার মধ্যে ‍উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- পুলিশ ডিভিশন প্রতিষ্ঠা, থানা ও আলামত সংগ্রহের স্থান বৃদ্ধি, পুলিশের আবাসন সমস্যা নিরসন, থানা প্রতি ৫টি পিক-আপ ভ্যান, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নীতকরণ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পুলিশের একজন লিয়াজোঁ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, দুদক, পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ, কারা অধিদফতরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান।

এছাড়া পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তত আরো ১০টি গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি। বর্তমানে পুলিশের আইজিপি’র পদ ছাড়াও আরো ২টি গ্রেড-১ পদ রয়েছে।
 
এসব দাবি প্রসঙ্গে কাজের গতি বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কতোগুলো বিভাগ করে আরো কয়েকজন সচিব নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
পুলিশের বিমা পলিসি ও পুলিশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। একটা বিমা পলিসি থাকা প্রয়োজন। তবে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে ৪০০ কোটি টাকা লাগে। এ টাকা আপনারা যোগাড় করতে পারলে ব্যাংক করতে পারেন।

পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে নিজের উপলব্ধির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র সমস্যাগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে না ধরে সবগুলোর সমন্বয় করে বড় প্রজেক্ট আকারে প্রস্তাব নিয়ে আসার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, সকলের বেতন বৃদ্ধি করেছি। বরং অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছি। পৃথিবীর কোনো দেশ এটা করতে পারেনি। শতভাগের বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা চাই, সকলে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করে। যার যার চাকরি ক্ষেত্রে যেন সবার জব স্যাটিসফেকশন থাকে সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, পুলিশের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। পুলিশের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। ঝুঁকিভাতার প্রচলন করেছি। কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছি। রেশন বাড়িয়েছি। নতুন নতুন থানা ও ব্যারাক নির্মাণ করেছি। রাজারবাগে ১০ তলা বিল্ডিং করেছি। পুলিশের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন সংগ্রহ করেছি। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

পুলিশের উন্নয়নে গত ৭ বছরে আমাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে পুলিশের জনবল আজ দেড় লক্ষাধিক। আমরা জনবল আরও বৃদ্ধি করবো।

তিনি জানান, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করেছি। পরবর্তীতে আরও ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেই। এর মধ্যে ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি জনবলের নিয়োগ কার্যক্রমও সম্পন্ন হবে। পুলিশের অপারেশনাল ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য বর্ধিত জনবলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিও আমরা সরবরাহ করবো।

ইতোপূর্বে আমরা আইজিপি’র র‌্যাংক ব্যাজ পুনঃপ্রবর্তন করেছি। আইজিপি’র পদ ছাড়া পুলিশে আরও ২টি গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ব্যাপক পদোন্নতি দিয়েছি। রংপুর রেঞ্জ, রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, দু’টি র‌্যাব ব্যাটালিয়নসহ আমরা বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট- স্পেশাল সিকিউরিটি প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, গঠন করেছি। আমরা ৩১টি নতুন থানা ও ৭০টি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করেছি। থানাগুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল এবং বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা পদায়ন করা হচ্ছে। পুলিশের আবাসন, অফিসের স্থান সংকট নিরসনে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।

বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় ছিলো না। এখন সেই সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে পেরেছি।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর মমত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৬ জন বীর সদস্য জীবন দিয়েছেন। যার মধ্যে ২১ জন পুলিশ সদস্য। আমি পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শহীদ সদস্যদের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

সরকার উৎখাতের নামে গত বছরের তিন মাস যে সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত, পুলিশ সে পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র, আইনের শাসন রক্ষার জন্য আপনাদের আত্মত্যাগ এক বিরল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের অবদান গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী বিভিন্ন আসনের উপ-নির্বাচন, চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দেওয়ায় পুলিশ বাহিনীর সকলকে ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সকল সংকট কাটিয়ে তুলে আমরা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তার সুদৃঢ় ভিত্তি নির্মাণ করে আপনারা দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন-এ আমার প্রত্যাশা।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সচিব মো. মোজ্জাম্মেল হক খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদূল হক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান,  ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এমইউএম/টিআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।