ঢাকা: নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামেন। এরপর শুরু হয়েছে কলেজ শিক্ষকদের আন্দোলন।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এর আগে সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের ভাতা সংক্রান্ত বিল পাসের জন্য পাঠিয়েছি। তবে এমপিদের ভাতার বিষয়ে আনীত বিলটিতে কিছু আপত্তি রয়েছে। এই বিলে দু’জন সদস্য আপত্তি তুলেছেন।
তিনি বলেন, আমলাদের বেতন বাড়তে বাড়তে ৮৬ হাজার হয়েছে। আর সংসদ সদস্য এমপিদের ভাতা ৫৫ হাজার টাকা। এখানে অজুহাত দেখানো হয়েছে, এমপিরা তো বেতন নেন না, রিমুনারেশন (ভাতা) নেন। রিমুনারেশন তো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীও নেন। তাদের যুক্তি রাষ্ট্রপতি হলেন প্রজাতন্ত্রের সবার উপরে, তাই তার বেতন এক নম্বরে রাখা হয়েছে।
তাই যদি হয়, তাহলে তো ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স (মর্যাদাক্রম) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধি হিসেবে এমপিদের মর্যাদা আমলাদের চাইতে উপরে। আপত্তি তুলে তারা বলেছেন রেমুনারেশন যদি নেই, তাহলে এক টাকা দিলেও সমস্যা নেই, তবে মর্যাদা তো তাদের (আমলাদের) উপরে রাখতে হবে- যোগ করেন সুরঞ্জিত।
তিনি বলেন, এমপিদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও অন্যান্য ভাতা যেমন মেডিকেল, সিটিং ভাতা, কমিটিতে উপস্থিতিতে ভাতা, যাতায়াত ভাতা- এগুলোর একটিও বাড়েনি। তাই আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি, এগুলো ঠিকঠাক করে নিয়ে আসতে। আমরা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মিটিং রেখেছি, ওই দিনই ঠিক হবে। এজন্য একটি সিরিয়াস বৈঠক করতে হবে। অর্থমন্ত্রীকে বৈঠকে ডাকা হবে।
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকার বিষয়গুলো দেখার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি আবার মিটিং হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জনগণই যদি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হয়। আর জনগণের প্রতিনিধিত্ব যদি এমপিরাই করেন তাহলে তাদের প্রতিনিধিকে তো সবার উপরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবকিছুর প্রাণ-ভোমরা হলেন ১৫১ সদস্য, তাই নাকি? ১৫১ জন হলেই তো সরকার গঠন হবে, সংসদ থাকবে, তারপরেই না আমলা বা অন্যান্যদের বেতন ভাতা বাড়বে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন, কমিটির সদস্য মো. শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম।
এছাড়াও বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য মইনউদ্দিন খান বাদল ও কামরুন নাহার জলি।
বৈঠকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবরা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬/আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা
এসএম/এমজেএফ