চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে অন্তত ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর থেকে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল।
এদিকে, ট্রলারে থাকা যাত্রীদের খোঁজে ও লাশের অপেক্ষায় নদীতীরে ভিড় করছেন স্বজনেরা। তাদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
নিখোঁজদের ও ট্রলারের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন হামইচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সরোয়ার কামাল।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক (নৌ-সওপ) এসএম মাহফুজ উল আলম সজল জানান, নদী খরস্রোতা হওয়ায় ও উদ্ধারকৃতরা ঘটনাস্থল ঠিকমতো চিহ্নিত না করতে পারায় উদ্ধারকাজে দেরি হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযানে থাকা নৌবাহিনীর সাব লে. মো. আক্কাস জানান, সাইড স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে পানির তলদেশে ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধান করা হচ্ছে।
অপরদিকে, উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে নিখোঁজদের স্বজনেরাও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন। বাকিরা লাশের আশায় তীরে অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ জন নিখোঁজের তালিকা করা হয়েছে। নিখোঁজরা হলেন, আলেয়া বেগম (২৫), তার ছেলে সিয়াম (৮) ও মেয়ে স্বর্ণা (৪), শাহাজাদী (৩০) ও তার মেয়ে নার্গিস (৮), মানিক (৪), রতন (আড়াই বছর), ফাহিম (২), আহমদ উল্লাহ সিকদার (৩৫) ও তার এক বন্ধু। তারা সবাই হাইমচরের চর ভৈরবী, চরভাঙ্গা, মৃধাকান্দি ও ইশানবালা এলাকার বাসিন্দা।
তবে স্থানীয়দের দাবি নিখোঁজদের সংখ্যা আরো বেশি হবে।
নদীতীরে অপেক্ষা করা শাহ আলম জানান, তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে এখনো খুঁজে পাননি। অন্তত লাশ দুটি যেন দাফন করার সুযোগ পান, প্রশাসনের কাছে তিনি এ অনুরোধ করেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাইমচরের তেলির মোড় থেকে ঈশানবালা চরে যাওয়ার পথে মাঝনদীতে তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় ডুবে যায় ওই ট্রলারটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এসআর