ঢাকা: বাংলাদেশের অার্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রসংশা করলেন ঢাকায় দায়িত্ব পালন করা চীনের সাবেক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত।
১৯৯৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী ৪ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
দায়িত্ব পালন করার সময়ের তুলনায় অাজকের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক চিত্রের তফাৎ চোখে পড়ার মতো বলে এসময় মন্তব্য করেন তারা।
চীনা সাবেক রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত ওয়াং চুংগি (১৯৯৭-২০০০), হু কিয়ানওয়েন (২০০০-২০০৩), চাই জি (২০০৩-২০০৭) এবং ঝেং কিংডিয়ান (২০০৭-২০০৯)।
এছাড়াও চাইনিজ পিপলস ইন্সটিটিউট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডু মিও উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূতরা বলেন, উন্নত অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উচ্চহার, মানুষের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য- এসবই বলে দিচ্ছে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ওয়াং চুংগি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ উন্নয়নের প্রধানতম দু’টি শর্ত এবং চীন সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতায় বরাবরই আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত চাই শি তরুণ নেতা হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাবেক চীনা রাষ্ট্রদূতদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অগ্রগতি এবং তথ্য প্রযুক্তিসহ অন্যান্য অবকাঠামোর উন্ময়ন চিত্র তুলে ধরেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফোস্টের প্রতি তরুণ প্রজন্মসহ দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। আর এ জনসমর্থন নিয়েই বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে বলে অাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উজ্জলতর হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। এক্ষেত্রে প্রয়োজন দু’দেশের সরকারের সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্তের।
চীনে সাম্প্রতি শ্রমমূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশে উৎপাদন কারখানাগুলো স্থানান্তরের মাধ্যমে লাভজনক বিনিয়োগ বিশাল সুযোগ রয়েছে- মন্তব্য করে তিনি এসব উৎপাদন কারখানায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ও বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
জেপি/জেডএস