ঢাকা: ছাপা থেকে সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্ট (কার্যতালিকা) অনলাইনে রূপান্তরের পর প্রতিদিন ৬৫টি গাছ কাটা থেকে বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া অনলাইন কজলিস্টের সফল বাস্তবায়ন শেষে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাগজে ছাপা কজলিস্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে তার পরিবর্তে অনলাইন কজলিস্ট চালু করা হবে। আমাদের এ উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে আন্দোলন সেটাকে আরও বেগবান করবে এবং ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেকটি বেঞ্চের পরবর্তী দিনের কজলিস্ট চূড়ান্তভাবে অনলাইনে প্রকাশিত করা হবে। বর্তমানে যে কজলিস্ট ছাপা হয় তাতে প্রতিটি কজলিস্টের পেছনে ৪শ টাকা খরচ পড়ে। যার খরচ বছরে দাঁড়ায় ২১ কোটি টাকা। অথচ গ্রাহক চাঁদা বাবদ মাত্র ৬০ লাখ টাকা আসে।
প্রতিদিনের ছাপা কজলিস্টের কলেবর বহনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব নয়। কারণ প্রায় ৪শ পৃষ্ঠার এ কজলিস্ট ছাপাতে প্রতিদিন ৬৫টি গাছ কাটতে হয়। তাই পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার পর এখন এ গাছ রক্ষা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের পর আইনজীবী সমিতি জরুরি সাধারণ সভা ডেকে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন-কাগজের কজলিস্ট থাকলে কোর্ট চলবে, অন্যথায় কোর্ট চলবে না।
এ বিষয়ে আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতে আইনজীবীরা অনলাইনের পাশাপাশি কাগজে কজলিস্ট মুদ্রণের দাবি জানাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
ইএস/এএ
** ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্ট শুধুই অনলাইনে