ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী

চীনা ভাষায় অনুদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
চীনা ভাষায় অনুদিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: ইংরেজি, উর্দু ও জাপানি ভাষার পর এবার চীনা ভাষায় প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী। চীনা ভাষায় অনুদিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


 
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
 
এ সময় বইটির অনুবাদক বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই শি (chai xi)  উপস্থিত ছিলেন।
 
আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।
 
মোড়ক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বই শুধু বাংলাদেশের নয়, উপমহাদেশের ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
 
অনুবাদক ও তার সহযোগীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
বঙ্গবন্ধুর বেশিরভাগ লেখা জেলে বসে লেখা বলেও জানান তিনি।
 
বঙ্গবন্ধুর লেখার পেছনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
 
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে চীন সর্ম্পকে কিছু লেখা আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, চীন সর্ম্পকে বঙ্গবন্ধুর আরো বিস্তৃ‍ত লেখা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আলাদা একটা বই লেখা হবে।

চীনের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভবিষ্যৎ বাণীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাক লাগে, তিনি চীনের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে যে কথা বলে গেছেন, তা আজ বাস্তব।
 
১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
 
আঞ্চলিক দারিদ্র্য বিমোচনে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) মানুষের সমস্যা এক। এসব সমস্যার সমাধান সবাই মিলে করতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষ দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠে আসবে, এটাই ‌আমাদের উদ্দেশ্য।
 
চীনা ভাষায় অনুদিত এ বইটি বিক্রি করে যা আয় হবে তার সবটুকু বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেন অনুবাদক চাই শি।
 
বঙ্গবন্ধুকে ‘মহান নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করে অনুবাদক চাই শি বলেন, আমার কাছে মনে হয়, আমি একটা ভালো কাজ করেছি।
 
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরের সময় আমাকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী চীনা ভাষায় অনুবাদের প্রস্তাব দেন। আমি তখনই বলেছি, অবশ্যই আমি এটা করবো। এটা করতে পারলে নিজেকে সম্মানিত মনে করবো।
 
বাংলাদেশকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে মন্তব্য করে অনুবাদক বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রেমে পড়ে গেছি।
 
১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশে আসেন বলেও জানান চাই শি।
 
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সহজ কথা নয়।
 
তিনি বলেন, কয়েক বছর পর বাংলাদেশে এসে দেখলাম, অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
 
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চাই শি বলেন, আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০২১ সালে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালে উন্নত আয়ের দেশ হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ তার অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশ তার ভবিষ্যত পরিবর্তন দেখবে।
 
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কবিতা ‍আবৃত্তি করেন।
 
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, এ জাতিকে আলোকের পথে, উন্নয়নের পথে এনেছেন বঙ্গবন্ধু।
 
অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বইটি যিনি পড়বেন তিনিই অভিভূত হবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এমইউএম/জেডএফ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।