জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর আবেদন সেশন জটের মতো অবস্থায় দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভকেট কামরুল ইসলাম। এই জট কাটাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে, টাকা এলে জট কমে আসবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অবসর সুবিধা বোর্ডে বর্তমানে অনিষ্পন্ন ৪১ হাজার ৮০১টি আবেদন নিষ্পতিতে ঘাটতি বাবদ প্রায় এক হাজার আটশত কোটি টাকা প্রয়োজন। আবেদন নিষ্পত্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ছয়শত কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, অবসর সুবিধা বোর্ডে বর্তমানে অনিষ্পন্ন ৪১ হাজার ৮০১টি আবেদন নিষ্পতি করার জন্য বর্তমান ঘাটতি বাবদ প্রায় এক হাজার আটশত কোটি টাকা প্রয়োজন। এ সুবিধা হালনাগাদ করাসহ অব্যাহত রাখার স্বার্থে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য বছরে প্রায় চারশত কোটি টাকা এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য দুইশত কোটিসহ প্রতিমাসে মোট ৬০০ কোটি টাকার মুনাফার লক্ষ্যে (আনুমানিক ১০ শতাংশ হারে সুদ হিসেবে) সিডমানি বাবদ মোট ৭ হাজার দুইশত কোটি টাকা এককালীন বরাদ্দ অথবা অবসর সুবিধা আইন ৯(১)(ক) অনুযায়ী প্রতি বছর জাতীয় ছয়শত কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হলে তাৎক্ষণিক সব আবেদন নিষ্পতি করা হবে।
মন্ত্রী জানান, অবসর সুবিধা বোর্ড প্রতিষ্ঠার সময় সরকার প্রদত্ত ৮৯ কোটি টাকার অর্জিত মুনাফা মাত্র অফিস পরিচালনা বাবদ ব্যয় করার অনুমোদন রয়েছে। প্রবিধান-৯ (১) অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও থেকে কেটে নেওয়া ৪ শতাংশ হারে চাঁদার ওপর ভিত্তি করে অবসর সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চাঁদা কর্তন করা হচ্ছে ২০০৫ সাল থেকে কিন্তু অবসর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ১ জানুয়ারি ১৯৮০ সাল থেকে। বর্তমানে মাসিক চাঁদা ৪ শতাংশ হারে মাসে আয় হয় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। ফলে প্রতিমাসেই ঘাটতি পুঞ্জীভূত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এসএম/আইএ
** লুই আই কানের নকশা সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন
** দেশে শিক্ষার হার ৬১ শতাংশ