ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শিশুরা উচ্চমাত্রায় অপুষ্টির শিকার হচ্ছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বন্যা, খরা অথবা সাইক্লোনে আক্রান্ত মানুষকে দুর্যোগের আটমাস পরেও উচ্চ খাদ্যদ্রব্য মূল্য মোকাবেলা করতে হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘গ্রামীণ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উপর জলবায়ুজনিত অভিঘাত ও চাপের প্রভাব’ সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
২০১৩ সালে এ গবেষণা করা হয় ঢাকা, বরিশাল ও সিরাজগঞ্জ শহরে বসবাস করা বস্তিবাসীর উপর।
গবেষণায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, হেলেন-কেলার ইন্টারন্যাশনাল, দ্য বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স এবং ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ইউকের একটি সমন্বিত প্রয়াস।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি ক্রিসটা রাডার বলেন, এ গবেষণা আমাদের প্রচলিত দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ও পুনর্বাসন পদ্ধতি সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, বন্যা বা সাইক্লোনের পরে অপুষ্টির মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যায়। অপরদিকে খরা পরবর্তী সময়ে দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের হার বাড়তে দেখা যায়।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে অপরিহার্য আমিষ ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের উৎস হিসেবে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বন্যা বা নদীভাঙন পরবর্তী সময়ে মাছ উপরিভাগে ভেসে ওঠে এবং সহজেই ধরা পড়ে। তাই তারা বন্যা দুর্গত জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় মাছের উৎসগুলো সংরক্ষণে অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কর্মসূচিতে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিকে একীভূত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাহেরিন আহমেদ, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আশরাফুল আমিন, আরিফিন আকতার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এফবি/এএ