চান্দিনা (কুমিল্লা): বন্ধু ও স্বজনদের নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করতে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেছেন রাব্বি (২৫) নামে এক যুবক।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং বর ও কনের বাবাকে জরিমানা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে ৪টি মাইক্রোবাসে করে ৬০ জন বরযাত্রী নিয়ে কামারখোলা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে লিজাকে (১২) বিয়ে করতে আসেন পেশায় কাঠমিস্ত্রির সহকারী রাব্বি।
এ সময় বরযাত্রীদের আপ্যায়ন ও বিয়ের মূল আয়োজন শুরু হয়।
এদিকে, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা দ্রুত বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন চৌধুরীকে জানান।
বিকেল ৪টার দিকে ইউএনওর নেতৃত্বে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরআগেই খবর পেয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়ে যান বর রাব্বি ও কনেকে লুকিয়ে রাখা হয়।
ইউএনও কনে লিজাকে উদ্ধারের পর বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে বাল্যবিয়ে আয়োজনের অপরাধে কনের বাবা মোজাম্মেল হক মুন্সি ও বরের বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া লিজার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে এনে তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন।
এদিকে, পরে ইউএনও নিজেই লিজার লেখাপাড়ার দায়িত্ব বহনের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও সুমন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত লিজার পড়াশোনার সব খরচ আমি গ্রহণ করেছি। আমি লিজার অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এসআর