ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগে নকল ইন্টারনেট এন্টিভাইরাস ক্যাসপারস্কি ও ক্যাসপারস্কি তৈরির সরঞ্জামসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রোর একটি দল।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে এ অভিযান চালানো হয়।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে নকল এন্টিভাইরাস ক্যাসপারস্কি। একটি চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে এসব পণ্য বাজারজাত করছে।
তিনি বলেন, এসব নকল এন্টিভাইরাস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন অসংখ্য কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যবহারকারী।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে রাজধানীর মালিবাগ বাজার সংলগ্ন ৪২৯ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এ অপরাধে জড়িত দুই আসামিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ২টি কপি রাইটার, ২টি কম্পিউটারের সিপিইউ, ২শ’ ৫০টি নকল ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি ২০১৬ ভার্সনের ডিভাইস, ২শ’ ৫০টি ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি ২০১৬ এর অ্যাক্টিভেশনে নকল বই, ২শ’টি ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি ২০১৬ এর খালি কভার এবং দেড়শ’টি বিভিন্ন গেমসের কপিরাইট সিডিসহ বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাকিং করে এন্টিভাইরাসের ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড করে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম ডাউনলোড করে কপিরাইটের মাধ্যমে ডিভিডি কপি করে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্রি করতো চক্রটি।
প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা আমাদের (পিবিআইকে) জানিয়েছেন, এন্টিভাইরাস ট্রায়াল ভার্সন ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার ও কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্টের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, জানা গেছে, সফটওয়্যার কিংবা প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন, এমন কয়েকজন প্রতারক এ চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ চক্রের মূল অপরাধী সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত সহিদুল ইসলাম নামের একজন ক্যাপ্টেন রয়েছেন। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ চক্রটি ইন্টারনেট থেকে এন্টিভাইরাসের ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড করে পরে তা ডিভিডি আকারে রূপ দেয়। আসল এন্টিভাইরাসের মতোই কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা এটি পুরোপুরি ইনস্টল করতে সক্ষম হলেও সেটি কোনো কাজ করে না। তখন ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে ফোন করে এর প্রতিকার চান। তখন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এন্টিভাইরাসের সিরিয়াল নম্বর জানতে চান কাস্টমার কেয়ারের সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এসব নম্বর নকল বলে নিশ্চিত করে সেবা কেন্দ্র। তখনই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এনএইচএফ/এএসআর