ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাণিজ্যমেলায় ২৩৫ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬
বাণিজ্যমেলায় ২৩৫ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: এ বছর ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যমেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭শ‘ ৬০ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এবারের মেলা থেকে ৩০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার বা ২৩৫ কোটি টাকার রপ্তানি অর্ডার পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।


 
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।
 
একই প্রশ্নকর্তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২১ বার মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের মেলা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ছিল। এবারের মেলায় ৪ লাখ মানুষ প্রবেশ করেছে। এবারের মেলায় ৩০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার বা ২৩৫ কোটি টাকার এক্সপোর্ট অর্ডার পাওয়া গেছে, যা গতবছর ৯৫ কোটি টাকা ছিল। মেলা থেকে নুন্যতম ২০ কোটি টাকা আয় হবে। এই টাকা দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মেলায় অংশ নেওয়া হয়।
 
ব্যবসায়ীরা মেলার সময়সীমা আরও কিছুদিন বাড়ানোর অনুরোধ করলেও, বইমেলার জন্য সময় বাড়ানো হয়নি বলে জানান তোফায়েল আহমেদ।
 
তিনি বলেন, এবারের মেলায় স্টল বা অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা,  গতবার এই ব্যয় ছিল ১৫ কোটি। একমাস পর এইসব স্টল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তাই আমার স্থায়ীভাবে মেলার স্থান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পূর্বাচলে প্রায় ৬০ বিঘা জমির উপর ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেলার স্থায়ী মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বারো মাস মেলা করা যাবে। আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে সেখানে মেলা আয়োজন করা যাবে।  
 
লিখিত উত্তরে মন্ত্রী জানান, ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৬ এ ২১টি দেশের ৫২টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ডিআইটিএফ মেলায় গুরুপ্তপূর্ণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহকে ই-মেইল, ফ্যাক্স ও পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছিলো।
 
তিনি আরও বলেন, মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ ৬০ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মেলায় অংশ নেওয়ায় দেশের রপ্তানিকারক ও বিদেশি আমদানিকারকদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

সৌদি আরব থেকে আমদানিকারকের একটি ডেলিগেশন এসেছিল। ওই ডেলিগেশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানিকারককে অর্ডার দেওয়া হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তোফায়েল আহমেদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।