ঢাকা: রাজধানীতে ৠাববের অভিযানে ৪টি অবৈধ বিদেশি পিস্তল, ৯টি ম্যাগজিন ও ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ আটক পাঁচজনই অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন বলে দাবি ৠাবের।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১২টায় ৠাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ৠাব-১ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বিষয়টি জানান।
পৃথক এ অভিযানে আটকরা হলেন- রুবেল শেখ (২৪), সোহেল মোল্লা (২৪), বাহেস শেখ (৩২), আব্বাস মিয়া (২৫) ও আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে পানি আরিফ (২৫)।
ৠাব-১ এই সিইও বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ল্যান্ডিং পয়েন্টে র্যাব-১ চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি করে। এমন সময় নীল রঙের একটি পিকআপ দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র্যাবের গাড়ি তাদের ধাওয়া করে উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় গাড়িটির গতি রোধ করে।
ওই পিকআপ থেকে রুবেল (২৪), সোহেল (২৪) আর বাহেসকে( ৩২) আটক করে র্যা ব।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গাড়ির বাম পাশের দরজার ভেতরে টেপ দিয়ে প্যাঁচানো চারটি বিদেশি পিস্তল, ৩৮ রাউন্ড গুলি ও ৮টি ম্যাগজিন রয়েছে বলে তারা স্বীকার করেন।
তারা র্যাবকে জানান, অস্ত্রগুলো উত্তর বাড্ডা এলাকার তারেক আহমেদ অনিক এবং তাদের সহযোগী আব্বাস মিয়ার কাছে পৌঁছানোর কথা ছিলো তাদের।
তাদের সঙ্গে নিয়ে বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালালে, সেখান থেকে পানি আরিফ ও আব্বাস মিয়াকে আটক করা হয়। তবে এ ঘটনার মূল হোতা তারেক আহমেদ অনিক ও তার সহযোগী বাদশা পালিয়ে যান। পরে পানি আরিফের বাসা তল্লাশি করে আরও একটি পিস্তলের ম্যাগজিন উদ্ধার করে ৠাব।
ৠাবের এই কর্মকর্তা জানান, অনিক উত্তর বাড্ডার স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। তিনি পেশায় একজন ডিজে (ডিস্ক জকি)। ডিজে হওয়ার সুবাদে তিন মাদকাসক্ত এবং একসময় নিজেই মাদক ব্যবসা শুরু করেন। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন অনিক। এরপর আশাপাশের এলাকায় অস্ত্র ব্যবসা শুরু করেন। মূলত অস্ত্র চালান এনে পানি আরিফের বাসায় লুকিয়ে রাখতেন তারা।
অনিকের দলে আরও ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ৠাবের এ কর্মকর্তা ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসটি/এসএনএস