ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিজিটালাইজড হচ্ছে রাজধানীর ৩১ পার্ক ও খেলার মাঠ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
ডিজিটালাইজড হচ্ছে রাজধানীর ৩১ পার্ক ও খেলার মাঠ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন।

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নগর ভবনে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্ক উন্নয়নের খসড়া পরিকল্পনা চুড়ান্ত’ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, পরিবেশ বান্ধব ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে ঢাকা ডিএসসিসির ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরি করা হচ্ছে। যা আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। শুধু তাই নয়, এই পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে সিসিটিভি, ফ্রি ওয়াইফাই ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেটার দ্রুত সমাধান সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বদলে যাচ্ছে এবং বদলে যাবে। রাজধানী ঢাকাকে অবশ্যই আমরা বদলে দেব। শুধু একা সরকারের পক্ষে সব সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকাকে পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ঢাকা হবে জল সবুজে ঢাকা একটি প্রযুক্তিবান্ধব শহর। অন্যদিকে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য একটি শহর। এজন্য আমরা ঢাকাকে জল সবুজে ঢাকা শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সাঈদ খোকন আরো বলেন, আজকের শিশুরা যদি খেলার মাঠ না পায় তাহলে সে ভবিষ্যতে কিভাবে দেশ চালাবে। আমরা যদি সম্পদকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে না পারি তাহলে আমাদের সফলতা কোথায়? তাই আমাদের সম্পদকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে হবে।     

অনুষ্ঠানে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমরা যদি মাঠগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে ঢাকা পুনরায় তার প্রাণ ফিরে পাবে। জল সবুজে গড়ে উঠবে ঢাকা শহর। মনে রাখতে হবে, আমাদের সম্পদ আছে কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে না লাগিয়ে ফেলে রাখি। এজন্য আমাদের সম্পদগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। রাজধানীতে বসবাসরতদের সুবিধার্থে খেলার মাঠ ও পার্কগুলোকে ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত রাখতে হবে।

স্থপতি রফিক আজম বলেন, তরুণদের জন্য খেলার মাঠ থাকা অবশ্যই জরুরি। এজন্য রাজধানীতে থাকা খেলার মাঠ ও পার্কগুলোকে জাগরিত করতে হবে। আর এটা যদি আমরা করতে সক্ষম হই তাহলে পিছিয়ে পড়া থেকে আমরা এগিয়ে যাব। আমরা এখন পার্কগুলোতে হাঁটতে ও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবি না। কারণ পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে এখন আর সে পরিবেশ নেই। শুধু তাই নয়, পার্ক ও খেলার মাঠগুলোতে গাছের সমন্বয় ঘটাতে হবে। যেন দেখলে মনটা জুড়ে যায়।  
স্থপতি মোবাশ্বের বলেন, ঢাকা শহরকে উন্মুক্ত শহরে পরিণত করতে হবে। ঢাকা শহরকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে হবে। ঢাকাকে আদর্শ শহরে আমরা কি পরিণত করতে পারি না? উন্নয়নশীল দেশ যেখানে আরো উন্নত হচ্ছে, সেখানে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

অনুষ্ঠানে স্থপতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
এসজে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।