সিলেট: জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চঞ্চলা দাস। দিরাই উপজেলার লৌলাচরের বাসিন্দা তিনি।
হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘ভূমিহীন’ এই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিজের বা স্বামীর নামে কৃষি, অকৃষি কোনো জমি নেই। শুধু নির্ভরশীলদের নামে একটি ভবন রয়েছে। স্থাবর সম্পদ না থাকলেও প্রবাসী ও ব্যবসায়ী স্বামী শ্রীপদ দাসের চেয়ে তার অস্থাবর সম্পদ বেশি।
বেসরকারি চাকরিজীবী এ নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজের নগদ ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আছে ৩ লাখ টাকা। ২ লাখ টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, এক লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী, সমপরিমাণ টাকার আসবাবপত্র এবং স্বামীর নামে রয়েছে ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী।
সিলেট বিভাগের একমাত্র এই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। হলফনামায় তিনি তার বার্ষিক আয়ের একমাত্র উৎস দেখিয়েছেন সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত অর্থ।
নির্বাচনে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য খাতে উল্লেখ করেছেন, বেসরকারি চাকরি থেকে ১ লাখ টাকা, স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসেবে প্রবাসী স্বামী শ্রীপদ দাসের ২ লাখ টাকা।
নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যয়ের খাত হিসেবে ১০ হাজার পোস্টার ছাপাতে ৩০ হাজার টাকা, ১১টি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন এবং কর্মী খরচ ৩৩ হাজার টাকা, নির্বাচনী এজেন্ট ৫০ হাজার এবং কর্মী খরচ ২০ হাজার, বিশ হাজার লিফলেট ছাপাতে ২০ হাজার টাকা, ৮১টি ডিজিটাল ব্যানার তৈরি এবং সাঁটানো বাবদ ৪০ হাজার ৫শ’ টাকা, নির্বাচনী ক্যাম্পে আপ্যায়ন বাবদ ৭ হাজার ৫শ’ টাকা, কর্মী খরচ ১০ হাজার এবং বিবিধ খরচ ৭৫ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এনইউ/জেডএস