ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাসিক নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক শনিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
নাসিক নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক শনিবার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (নাসিক) নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ মিলনায়তনে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (নাসিক) নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ মিলনায়তনে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

এতে চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
 
ইতিমধ্যে ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান গত ৪ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আনসার, ভিডিপি, ৠাব, বর্ডাব গার্ড অব বাংলাদেশ, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই, এনএসআই এর মহাপরিচালক, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

আগামী ২২ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে ৪দিন ওই বাহিনীগুলোকে নিয়োজিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
 
নাসিকের মোট ২৭টি ওয়ার্ডে ১৭৪টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩০৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে আনসার, পুলিশ ও নিরস্ত্র আনসারের সমন্বয়ে ২২ জনের ফোর্স এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হতে পারে।
 
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডের একটি করে মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ২৭টি টিম, ২২ প্লাটুন বিজিবি ও ৩ প্লাটুন কোস্টগার্ড নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
 
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) মাঠে নেমেছেন ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
 
ইতিমধ্যে ভোটগ্রহণকে প্রভাবমুক্ত রাখতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রকল্প অনুমোদন, অর্থ ছাড় বা কোনো ত্রাণ কার্যক্রম না চালানোর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া বহিরাগতদের ১৯ ডিসেম্বর রাত ১২টার আগে এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।
 
নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের মোটরযান বা নৌযান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত একদিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্যাক্সি, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। আর মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে ১৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২৩ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত আকারে মোটরযান চলাচল করতে পারবে।
 
নির্বাচনে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। তরা হলেন- আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপির কামাল প্রধান, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেজবাহ উদ্দিন ভুলু।
 
এবার মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন। নির্বাচনে মোট ১৬৩ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২১৭ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।