বরিশাল: বরিশাল নগরের জডন রোডের চন্দ্রিমা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জাকির হোসেনের বাসায় রাজিয়া (১৩) নামে এক গৃহকর্মীর অপমৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে তার বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাজিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিশুটি বরিশালের হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি হিজলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থাকার সময় থেকে রাজিয়ার পরিবারকে চেনেন। এরপর রাজিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে তার বাসায় কাছে থেকে সন্তানদের দেখাশুনা করতো।
সম্প্রতি পাশের বাড়ির মিলন (১৪) নামে এক কিশোরের সঙ্গে রাজিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টের পেয়ে সোমবার বিকেলে তার স্ত্রী বিষয়টি রাজিয়ার বাবাকে জানান এবং ভবিষ্যতের বিপদের কথা চিন্তা করে রাজিয়াকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে বাসার সবার অগোচরে বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। টের পেয়ে রাজিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাসুদ মোল্লা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রাজিয়ার মৃত্যু হয়।
এদিকে, রাজিয়ার মৃত্যুর পর মিলনের সন্ধানে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মিলন যে বাড়িতে থাকতো সেই বাড়ির কর্তা শাহাবুউদ্দিন জানান, নগরের কালিজিরা ব্রিজ সংলগ্ন সর্দার বাড়ির মিলন তার বাড়িতে থাকতো। সোমবার রাজিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে সে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে মোবাইল ফোনে সে এক বন্ধুর কাছে আছে বলে জানায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
এমএস/এসআই