ধামরাই, ঢাকা: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে ধামরাইয়ে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে শ’খানেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এরপর ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়েই এখানে চলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য শহীদকে ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে গণকবর দেওয়া হয়। এর মধ্যে উপজেলার কালামপুর বাজার, বালিয়া কবরস্থানে গণকবরের সংখ্যা বেশি।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শহীদদের গণকবর রয়েছে। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের তাড়িয়ে ১৩ ডিসেম্বর ধামরাই উপজেলায় বিজয় পাতাকা উড়ানো হয়।
শহীদদের নামে কালামপুর বাজারে ’৭১ স্মৃতিস্তম্ভ সংযোগ সড়ক-নামে একটি সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় দশ লাখ টাকা। এ সড়কটি ২৬ মার্চ ২০১৩ সালে উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ সাবেক এমপি ঢাকা-২০।
এর পর ২০১৫ সালে ২৬ মার্চ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা এমএ মালেক বর্তমান এমপি ঢাকা-২০।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান হবি বাংলানিউজকে বলেন, যুদ্ধের সময় কালামপুর বাজারে একটি খালের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়। তৎকালীন ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এবং মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, এদের নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি।
ধামরাই উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিলো কুশুরা,পানকাত্তা, সুতিপাড়া, রোয়াইল ও বালিয়া। এ সমস্ত ক্যাম্প থেকে আমরা যুদ্ধ করেছি। ধামরাইয়ে পাঁচশ’র বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
আরএ