ভোলা: ভোলার মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সাগর উপকূলের দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় চালু হতে যাচ্ছে ‘অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্ককীকরণ কেন্দ্র’।
মূল ভবন স্থাপনের ৮ বছর পর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে এটি চালু হতে যাচ্ছে।
এতে একদিকে যেমন অবহেলিত মনপুরাবাসী ঝড়ের পূর্ভাবাস ও সতর্কতা সংকেত সম্পর্কে জানতে পারবেন অন্যদিকে প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
চারদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলার সঙ্গে বাইরের জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে নৌ পথ। নৌ রুটেই পণ্যবাহী দেশি-বিদেশি জাহাজ, কার্গো, লঞ্চসহ বিভিন্ন ধরনের নৌ যান চলাচল করে আসছে। এছাড়াও জেলার দেড় লাখ জেলে মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করে থাকেন। কিন্তু বিগত সময়ে এসব নৌ যান চরম ঝুঁকির মধ্যে ছিলো। মাঝে মধ্যে দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে, এখন নৌ চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্ককীকরণ কেন্দ্র’ চালু হলে ওইসব নৌ যান অনেকটা ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় এক একর জমির ওপর তিন তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে সেটি চালু হয়নি। এখন আধুনিক শক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি নিয়েই কেন্দ্রটি চালু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সেখানে একজন আবহাওয়া সহকারী, ২ জন উচ্চ পর্যবেক্ষক ও ২ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদায়ন দেওয়া হয়েছে।
এ অফিস থেকে পর্যবেক্ষণ, ঝড়ের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বাতাসের আর্দ্রতা, বায়ুর চাপ এবং সতর্কতা কিংবা হুঁশিয়ারি সংকেত জানা যাবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মনপুরা অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্ককীকরণ কেন্দ্র’র আবহাওয়া সহকারী জামিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্ককীকরণ কেন্দ্রটি চালু হবে। একটি ভবন রয়েছে এখন আরেকটি ভবনের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
পিসি/