ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে; এখন চলছে গণনার কাজ। ৬১টি জেলায় এক যোগে এই নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দেশের প্রতিটি স্থানেই সকাল ৯টায় ভোট শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি তেমন ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উপস্থিতি। কোথাও কোথাও দেখা যায়, শেষ সময়ের ভিড়ও।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ রাজধানীর আজিমপুরের একটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে।
ইসি সচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহর মতে, নির্বাচনটি অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এখানে ছিলেন।
জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা পরিষদ প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৩৯ জেলায় ১শ ৪৬ জন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১শ ৬৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই হাজার ৯শ ৮৬জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮০৬ জন প্রার্থী।
জেলা পরিষদের ৬১ জেলায় ৬৩ হাজার ১শ ৪৩ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩শ ৪৩ জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮শ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮শ ৩৬টি। আর কক্ষ ছিল এক হাজার ৮শ ৩০টি। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
এ নির্বাচনে আটটি পর্যবেক্ষক সংস্থার তিন হাজার ২শ ২৫ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয় ইসি।
১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল। পরবর্তীতে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে।
এরপর ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগ জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই নির্বাচন হলো। ২০ নভেম্বর তিন পার্বত্য জেলা বাদে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
আইএ