ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অগ্নি দুর্ঘটনায় আরও বেশি সচেতন হতে হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
অগ্নি দুর্ঘটনায় আরও বেশি সচেতন হতে হবে গোলটেবিল বৈঠক, ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: অগ্নি দুর্ঘটনা এবং ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নগরবাসীকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘ফায়ার হ্যাজার্ডস ইন আরবান এরিয়া: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ মত দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর যৌথ উদ্যোগে এ বৈঠকের আয়োজন করে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, উত্তরের মেয়র আনিসুল হকসহ গবেষক, অধ্যাপক, সংশ্লিষ্ট সরকারী, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে ঢাকা শহরের যানজট, সরু রাস্তা, পানির স্বল্পতা, ভবনের সামনে খালি জায়গা না থাকা, আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসা, একই ভবনে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম, অপরিকল্পিত গ্যাস ও বৈদ্যুতিক তার, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাইড্রেন্ট ও ইমারজেন্সি লাইন না থাকা, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়কে চিহ্নিত করেন তারা।

এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বক্তারা বলেন, জনসংখ্যার আধিক্য ও অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে ঢাকা শহরে অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় ইলেকট্রনিক সার্কিট আর গ্যাসের লাইন থেকে। আগুন লাগার পরেও জনসাধারণ ফায়ার সার্ভিসের জন্য বসে থাকে। তারা একটু সচেতন হয়ে আগুন লাগার উৎস জেনে এগিয়ে আসলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীতে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটে, তখন সবার মনে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এটি কী কোনো দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা। অধিকাংশই মনে করেনি এটি নাশকতা। পরে তাদের বিষয়ে তদন্ত হয়। রাজধানীর অগ্নিকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হলে এসব ঘটনা অনেকাংশে কমে যেতো।

এ সময় তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে সিটি করপোরেশনকে অধীনে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মেয়র আনিসুল হক বলেন, ঢাকা শহরে মানুষ আছে দেড় কোটি। সে অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের জনবল থাকার কথা ন্যূততম সাত হাজার ৫০০। সেখানে আছে মাত্র ৫০০ জন। ফায়ার স্টেশন থাকার কথা ৫২টি, সেখানে আছে মাত্র ১৩টি।

ফায়ার সার্ভিসের জনবল এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এসকেবি/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।