আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণখানের গোয়ালটেক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান।
মরদেহটির সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তানিয়া রহমানের স্বামী পিন্টু রহমান বাংলানিউজকে জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী ও তানিয়ার বড় ভাই হারুন দক্ষিণখানের গোয়ালটেক সালমা মার্কেট এলাকার ২৪৮ নম্বর টিনসেটের নিজ বাড়িতে থাকতেন। বাড়ির পাশে তাদের একটি মুদি দোকান রয়েছে। হারুন মানসিকভাবে খানিকটা অসুস্থ।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে ওই দোকানে বসে থাকা হারুনের সঙ্গে মিজান নামে একজনের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে পরের দিন (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মিজান তার লোকজন নিয়ে মুদি দোকানে হামলা চালান। সে সময় দোকানে বসা ছিলেন তানিয়া। তখন হামলাকারীরা তানিয়াকে কুপিয়ে আহত করে।
পিন্টু আরও জানান, আহত অবস্থায় তানিয়াকে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৫ জানুয়ারি) বিকেলে মারা যান তিনি। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই দিন রাত ১০টায় তানিয়ার মরদেহ দক্ষিণখানের ওই কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, তানিয়ার পরিবারের সদস্যরা গত ৮ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার প্ররিপেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
তানিয়ার স্বামী পিন্টু নিজেই বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন উল্লেখ করে ওসি জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এজেডএস/এসআরএস/এইচএ/