বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ওই গৃহবধূকে পথচারীরা রাস্তার পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লালপুর জঙ্গলবাড়ী গ্রামের মইনুল হকের ছেলে রব্বানীর সঙ্গে ৩ বছর আগে বেংরোল জিয়াবাড়ী গ্রামের তমিজ উদ্দিনের মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়।
শুধু তাই নয়, যৌতুকের জন্য প্রায়ই রব্বানী আফরোজাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে আফরোজার স্বামী ৫০ হাজার টাকা আনতে তার বাবার কাছে যেতে বলেন। কিন্তু আফরোজা গরীব দিনমজুর বাবার আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে টাকা আনতে রাজি হয়নি। এতে রব্বানী ও তার পরিবারের লোকজন আফরোজাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
একপর্যায়ে আফরোজা জ্ঞান হারালে পরিবারের লোকজন তাকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
আফরোজা বেগমের মা রহিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সব জমিজমা বিক্রি করে জামাতার আহলাদ পূরণ করেছি। তারপরও প্রায়ই আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হতো।
এছাড়াও এসময় তিনি নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জনুয়ারি ১৯, ২০১৭
এজি/আরএ