নিহত ফাতেমা আক্তার ওই এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে। সে হাতিমারা এলাকায় উইনার পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিবেশী মফিজ মিয়ার বাড়িতে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায় পুতুল। পরে আর বাড়ি ফিরেনি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মফিজ মিয়ার বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত একটি সেফটি ট্যাংক ভাঙা দেখে নিহতের পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে ওই পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকের ভেতর মরদেহ পাওয়া যায়।
জয়দেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের চাচা মো. আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ফাতেমা। কেউ হত্যার পর ফাতেমার মরদেহ গুম করতে ওই স্থানে ফেলে দিতে পারে।
জয়দেবপুর থানাধীন চক্রবর্তী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মো. হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে কেউ ফাতেমাকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওযা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
আরএস/এএ