ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমান-কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমান-কারাদণ্ড ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান- ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: বগুড়া শহরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দায়ে চার লাখ টাকা জরিমান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও কথিত স্বর্ণমূতি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি প্রতারণার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজাউল করিম নামে এক প্রতারকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের নারুলী এলাকায় জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

রাত সাড়ে ৯টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
তিনি বলেন, প্রথমে ঢাকা ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মালিকের ছেলেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর একই আইনে খলিলের ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে ময়না হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, পচা-বাসি খাবার রাখা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দায়ে একই আইনে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপতর শহরের এরুলিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও কথিত স্বর্ণমূর্তি উদ্ধার করা হয়। ফেনসিডিলের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কথিত স্বর্ণমূতির জন্য প্রতারণার দায়ে রেজাউল করিমকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপতরের সহকারি পরিচালক ও এপিবিএন সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।