শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে অপহৃত ছয় জেলে মুক্তিপণের বিনিময়ে পরিবারের কাছে ফিরে আসে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলেরা মাছ ধরে ঘাটে ফেরার সময় লুধূয়া ঘাটের অদূরে মেঘনা নদী থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃত জেলেরা হলেন- উপজেলার পাটোয়ারির হাট ইউনিয়নের বাসিন্দা কালু মাঝি, শফিক মাঝি, চৌকির মাঝি, মুন্সির হাট এলাকার আজাদ মাঝি। অপর দুই জেলের পরিচয় জানা যায়নি।
অপহৃত কালু মাঝির ছেলে মো. মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাছ ধরে লুধূয়া ঘাটে ফেরার সময় ৯-১০ জন জলদস্যু কয়েকটি মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারে হানা দেয়। দস্যুরা জাল, মাছ, নৌকার ইঞ্জিন, নগদ টাকা, মোবাইল ও জ্বালানি তেল লুটে নেয়। এ সময় বিভিন্ন নৌকার ছয় মাঝিকে অপহরণ করে। পরে জেলেদের মেঘনায় জেগে উঠা নতুন চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের আটকে রেখে মারধর করে।
অপহৃত জেলেদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তাদের পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিকাশের মাধ্যেমে ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা।
অপহৃত জেলেদের স্বজনেরা জানান, অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে না জানাতে হুমকি দিয়েছে জলদুস্যরা। এ কারণে পুলিশকে জানানো হয়নি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অপহৃত জেলে ও তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
আরআর/জিপি