শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৮ জানুয়ারি শাহজালালের কার্গো ইউনিটের ডেলিভারি গেইটের বাইরে থেকে ২৯৮ কার্টনভর্তি গ্রামীণ ব্রান্ডের এসব ফোন খালাসের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জব্দ করা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি হংকং থেকে ঢাকা কাস্টমস হাউজের মাধ্যমে আমদানি হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে মোবাইল ফোনসেটগুলো নকল আইএমইআই নম্বর সম্বলিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
নমুনা হিসেবে কয়েকটি মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটে চেক করা হলে এসব আইএমইআই নম্বর আসুস ব্রান্ডের মোবাইল ফোনের তথ্য নির্দেশ করে।
পরে আসুস বাংলাদেশের হটলাইনে যোগাযোগ করলে তারা এসব আইএমইআই আসুস জিনফোন ব্রান্ডের মোবাইল ফোনের বলে নিশ্চিত করেছেন।
আইএমইআই নম্বরসমূহ বিটিআরসির স্পেকট্রামে সরবরাহ করা হলে তারাও আসুস জিনফোনের বলে নিশ্চিত করেন। বিটিআরসি এসব ফোনের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, চালানটি ঢাকার মোতালেব প্লাজার আলী এন্টারপ্রাইজ। সাউথ ইস্ট এশিয়া সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
চালানটির বাজার মূল্য এক কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ১৮ লাখ ১০ হাজার ৭৫২ টাকা ২০ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করা হয়েছে।
ড. মইনুল খান আরো জানান, বাংলাদেশে একটি চক্র মোবাইল ফোনের ইউনিক নম্বর পরিবর্তন করে নানা অপরাধ করে যাচ্ছে। একটি আইএমইআই নম্বরে একাধিক সেট ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ধরণের নকল আইএমইআই নম্বরযুক্ত মোবাইল ফোন সাধারণত নানা অপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে। এসব নম্বর ট্র্যাকিং করে অপরাধীর অবস্থান ও পরিচিতি সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায় না।
প্রকৃত আইএমইআই নম্বর যুক্ত না থাকায় ধারণা করা যায় আটক মোবাইলগুলো অতি নিম্নমানের ও নকল। এতে ক্রেতাদের প্রতারিত ও নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি করা মোবাইলের চালান খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭/আপডেট: ২৩০৮
আরইউ/এসএইচ/এএটি/