শনিবার (২১ জানুয়ারি) জোবায়ের আক্তারকে এক্স-রে করে পানি খাইয়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর পেট থেকে বিশেষ কৌশলে এ স্বর্ণ বের করা হয়।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার এইচএম আহসানুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, জোবায়ের আক্তার বিজি ০৮৭ বিমান যোগে কুয়ালালামপুর থেকে এসেছেন।
তার বাড়ি নড়াইল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় চ্যালেঞ্জ করে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্বীকার করে আসছিলেন।
আহসানুল কবিরের ভাষ্যমতে, প্রথমে তাকে বুঝিয়ে তার পেটে লুকানো স্বর্ণের বারগুলো স্বেচ্ছায় বের করে দিতে বলা হয়। কিন্তু ‘জোবায়ের সুপার কনফিডেন্ট। তার পেটে বিমানে খেয়ে আসা নাস্তা ছাড়া কিছু নাই! অগত্যা নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে এক্স-রে করাতে। ’
তিনি বলেন, ‘এক্স-রে রিপোর্ট দেখে উনি কাস্টমস চেয়েও বেশি অবাক! ঘুমের ঘোরে মালয়েশিয়ান বন্ধুরা কি খাওয়াইছে না খাওয়াইছে! ঘোর কাটাতে দুই ঘণ্টা পার। ’
‘তৃতীয় ঘণ্টা গেল তার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পণ্য খালাস করাতে! পানি খাইয়ে, নানাবিধ শারীরিক কসরত আর চাপাচাপি করে রেক্টাম থেকে স্বর্ণ ডাউনলোড। ’
একটি দু’টি নয়, ১৫টি চকচকে স্বর্ণ বার। ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। যার মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
আরইউ/পিসি