এই ঘটনায় আটক স্বাস্থ্যকর্মী তোহরা বেগমের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার (২২ জানুয়ারি) আদালতে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগরীর শাহ মখদুম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার মামলা দায়েরের পর আটক স্বাস্থ্যকর্মী তোহরা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে তার কথাবার্তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। তাই আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তোহরার বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রোববার এর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আদালতে রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে আবারও থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এছাড়া ঘটনার পর নওদাপাড়ার আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স এলিজাবেথকেও আটক করা হয়েছিল। কিন্তু সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে নবজাতক চুরি করে পালিয়ে যাওয়া ঢাকার অজ্ঞাত পরিচয় সেই নারীর সন্ধানে পুলিশ কাজ করেছে। তাকে ধরতে পারলেই নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করা যাবে বলে জানান এসআই মতিউর।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে রাজশাহীর নওদাপাড়া আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে এই ঘটনায় চুরি যাওয়া শিশুর নানী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে স্বাস্থ্যকর্মী তোহরা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
পবার চর শ্যামপুর এলাকার দিনমজুর নাসির উদ্দিন ওই নবজাতকের বাবা। তার স্ত্রী মুক্তি বেগম বর্তমানে নওদাপাড়ার আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
**রাজশাহীর আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নবজাতক চুরি
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
এসএস/বিএস