তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দেওয়া বা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই। যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের জন্যই আজকের এ আয়োজন।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির উদ্বোধনী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ৪৫ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে আমাকে সভাপতি করে কেরানীগঞ্জ উপজেলায় সাত সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে এক সপ্তাহের মধ্যে উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলা ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার আবু সাঈদ মিয়া, মো. হাবিবুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার মো. শাহজাহান, ডেপুটি কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডা. নুর মোহাম্মদ, মো. শাহবুদ্দিন, মো. ফিরোজ আলম ও শফিউল আযম খান বারকু প্রমুখ।
ইউএনও আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসময় বলেন, তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করা হবে। কেরানীগঞ্জ উপজেলায় লাল-সবুজ বই, গেজেট তালিকাভুক্ত, অনলাইন ও মন্ত্রণালয়ে সরাসরি আবেদনকারীসহ ৮৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এদের মধ্য থেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
বাংলাদেশ: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
আরবি/এসআই