ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
যুদ্ধাপরাধ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি যুদ্ধাপরাধ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

ঢাকা: সু্প্রিম কোর্টে যে সকল যুদ্ধাপরাধের মামলা ঝুলে রয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক)।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঘাতক দালাল নির্ম‍ূল কমিটির ‘৭ম জাতীয় সম্মেলনে গৃহীত  প্রস্তাব ও কর্মসূচির আলোকে নির্মূল কমিটির পরবর্তী কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
 
লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এসকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৭ সালের মধ্যে গণহত্যাকারী ও যুদ্বাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াত ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগের উদ্যোগে গঠিত শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও মুজাহিদ বাহিনীর বিচার শুরু না করা হলে ২০১৮ সালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
 
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, শিক্ষামন্ত্রী হেফাজতের দাবির মুখে ৪শ’ কোটি টাকার বই বাতিল করে নতুন বই বের করবেন। এই ঘাটতি তিনি কিভাবে পূরণ করবেন। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় জামায়াত হেফাজতী ভাবধারার মৌলবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে।
 
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে জামায়াত, হেফাজতী এবং মওদুদী ভাবধারার মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংযুক্তি বাতিল করে সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। আর যদি তা না করা হয়, এর বিরুদ্ধে জেলা , উপজেলা, ইউনিয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক স্কোয়াড এবং তথ্য প্রযুক্তি সেল গঠন করে শক্তিশালী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
 
সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ১ বছরের মধ্যে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

২০১৭-১৮ কার্যবছরের জন্য বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানীকে সভাপতি করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ এবং লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরকে সভাপতি করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ঘাদানিকের কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
এএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।