শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের হল রুমে ‘জাগো নারী’র উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাগো নারীর ডিরেক্টর কমিউনিকেশন ডিউক ইবনে আমিন বলেন, প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষিত-দক্ষ অসচেতন ব্যবহারকারীর অভাবেই সাইবার ক্রাইমের প্রবনতা বাড়ছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি সূত্রে জানা যায়, আইসিটি আইন সংশোধন হওয়ার পর ২০১৩ সালে ৩৫টি, ২০১৪ সালে ৬৫টি এবং চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১০০টির বেশি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আইনে ৬২টি এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪২টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) সূত্রে জানা গেছে, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সাইবার নিরাপদ হেল্প ডেস্ক চালু হওয়ার পর ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত ১৩ মাসে ১০ হাজার ২৬১টি অপরাধের ঘটনায় তাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে ভুক্তভোগীরা। এর মধ্যে ফেসবুক অপরাধ ৪০ শতাংশ, অনলাইন ৭ শতাংশ, পর্নোগ্রাফি ৫ শতাংশ, ক্রেডিট কার্ড ৫ শতাংশ, রাজনৈতিক ৪ শতাংশ, মোবাইল ব্যাংকিং ৫ শতাংশ এবং ই-মেইল সংক্রান্ত অপরাধ ১০ শতাংশ।
এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে অপরাধের শিকার হয়েও মান মর্যাদার ভয়ে তা গোপন রাখছে। অভিযোগ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে।
ডিউক ইবনে আমিন আরো বলেন, এ পর্যন্ত সাইবার ক্রাইমের আইসিটি অ্যাক্টে বরিশালে ৭২৫টি, ভোলায় ৯৫টি, বরগুনায় ১৩০টি, পটুয়াখালীতে ১৭০টি, ঝালকাঠিতে ১০০টি এবং পিরোজপুরে ৭০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যথেষ্ট ধারণা না থাকায় এ অপরাধ দ্রুত বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাগো নারীর নির্বাহী পরিচালক হামিদা বেগম, আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, জাগো নারী বরগুনার প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি স্পিড ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হেমায়েত উদ্দিন, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক এস এম শাহজাদা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারী ২১, ২০১৭
এমএস/আরএ