নির্যাতিত কিশোরীটি গাইবান্ধা শহরের একটি বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ময়নুল হক (২৩), একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৫) ও মৃত মুনছুর আলীর ছেলে বাবলু মিয়া (৩৮)।
পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মোবাইল ফোনে কিশোরীটির মামাতো ভাই জরিদ মিয়ার বরাত দিয়ে তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাড়িতে ডাকে বাবলু। খবর পেয়ে মেয়েটি গাইবান্ধার থেকে পলাশবাড়ি নিজ গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়। পথে সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাবলু ও তার দুই সহযোগী মেয়েটিকে জোর করে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এসময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে ওই তিন যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ রাতে তাদের আটক করে।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে পলাশবাড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পর ওই তিন যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া নির্যাতিত কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
আরবি/আরএ