ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় বন্যা সহিষ্ণু ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষে প্রশিক্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
মাগুরায় বন্যা সহিষ্ণু ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষে প্রশিক্ষণ মাগুরায় বন্যা সহিষ্ণু ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষে প্রশিক্ষণ-ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: সারাদেশের মোট আবাদী জমির মধ্যে ২৫ লাখ হেক্টর ধানী জমি বন্যাসহ নানা কারণে জলাবদ্ধতার শিকার হয়। যা বিশেষ করে ধানের বীজতলা ও চারা রোপণে চরম বিপর্যয় ডেকে আনে।

এ বিপর্যয় ঠেকাতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এমন এক ধরনের ধানের বীজ উদ্ভাবন করেছে যা বীজতলা ও রোপণের পরবর্তী ৩ দিন থেকে কমপক্ষে ২০ দিন পানির নিচে জীবন্ত থাকবে।

ফলে বীজতলা ও রোপণ পর্যায়ে জলাবদ্ধতার ঝুঁকি থাকবে না।

গত আমন মৌসুমে সারাদেশে ‘বিনা’র উদ্যোগে বন্যা ঝুঁকি কবলিত প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমিতে বিনা-১১ ও বিনা-১২ নামের বন্যা সহিষ্ণু এ ধরনের ধানের আবাদ হয়েছে। এটির জীবনকাল ১১৫ দিন থেকে ১২৫ দিন। এছাড়া হেক্টর প্রতি ফলন সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ টন পর্যন্ত।

মাগুরা পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শনিবার (২১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই ধানসহ বিনা উদ্ভাবিত উন্নত জাতের তেল, ডাল ও দানাদার ফসলের চাষাবাদ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তথ্য জানিয়েছেন ‘বিনা’র’ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।
বিনা মাগুরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শম্পা রানী ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনা ময়মনসিংহের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফেজ মো. ইকরামুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিনা’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীমা বেগম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিনার বৈজ্ঞানিক সহকারি মো. বোরহান উদ্দিন। বিনা ময়মনসিংহ আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ শতাধিক কৃষক-কৃষাণি অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।