প্রস্তুতিও ছিলো তেমন। কিন্তু যে হাত দিয়ে লিখবে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) কথাগুলো বলছিলেন দগ্ধ বন্যার মা জয়নব বেগম।
বন্যা এখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলার রেড ইউনিটের ফিমেল ওয়ার্ডে।
এর আগে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর দক্ষিণ আরিচপুরে মো. আলীর বাড়ির চতুর্থ তলায় চুলার আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটে।
তার মা বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে বন্যা তার মায়ের কাছে পিঠা খেতে চায়। পিঠা বানানোর ব্যবস্থা না থাকায় বন্যা তার মাকে বলে, আমি সবাইকে নুডুলস বানিয়ে খাওয়াবো। এরপর বন্য রান্না ঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে দাউ দাউ করে আগুন বন্যার শরীর পুড়ে যায়।
পাশের বাড়ির মালিক মঞ্জু ফরাজি বলেন, আগুনের খবর পেয়ে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে প্রথমে বন্যাকে উদ্ধার করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দেখা যায়, চুলার চাবি খোলা ছিলো। এমনকি বাসায় থাকা এলপি গ্যাস সিলিন্ডারও লিক ছিলো। রান্না ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ ছিলো। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, বন্যা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে খুব মেধাবী ছাত্রী। তার দগ্ধ অবস্থার কথা শুনে সব শিক্ষকই দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা ছাড়িনি। বন্যা কিছুটা সুস্থ হলে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বাংলানিউজকে বলেন, আগুনে বন্যার শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। এখনও শঙ্কা মুক্ত নয় সে। তার সুস্থ হতে আরও অনেক সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এএটি