নিহত জাহাঙ্গীর সদর বরগুনা জেলার হাউজিবুনিয়া গ্রামের জয়নুদ্দিনের ছেলে। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানিতে কাজে যোগদান করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে ঢাকাগামী অর্কিট পরিবহনের একটি বাস যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়েছিল। বাসের যাত্রীরা অপর একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় হঠাৎ একটি পিকআপভ্যান পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দিলে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। এসময় প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে ছুটে গিয়ে জাহাঙ্গীর তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বাহন থামাতে গেলে একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে আহত ওই ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়।
শালানা থানা হাইওয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এছাড়া বাস ও পিকআপভ্যান আটক করা হলেও জাহাঙ্গীরকে চাপা দেওয়া ঘাতক বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা জেলা কমান্ডার সাইফুল্লাহ রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, আহত ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিলেন জাহাঙ্গীর। এতে আমাদের মুখ উজ্জল হলেও তাকে আর আমরা ফিরে পাব না। তার দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকা পরিবারকে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে তার পরিবারকে আরও পাঁচ লাখ টাকাসহ আনুসাঙ্গিক অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
আরবি/আরএ